১) ঘটনাটি ২০১৬ সালের মাঝামাঝি কোন এক দিনের। একেবারে ভর দুপুর বেলা।
২) আমার হাতে ছিলো ইয়ামাহা ফেজার ভারশন ১ মডেলের বাইক টি। যদিও আমি এখনো সেই বাইক টি ই চালাই।
৩) আমার গন্তব্য ছিলো চরফ্যাশন থেকে ভোলার উদ্দেশ্যে। আমি যখন লাল্মোহন বাজারে প্রবেশ করি তখন রাস্তাতে যানবাহনে ভরা একেবারেই ব্যাস্ততম রোড। তার উপরে প্রচন্ড রোদ্র।
৪) আমার সামনে পেছনে অসংখ্য রিশকা, বাইক,বাস। আমি অনেক্ষন একটি অটো রিকশার পেছনে আস্তে আস্তে চালাচ্ছিলাম। যতটূকু মনে পরে স্পীট ৫-১০ কিমি। কারন রাস্তায় প্রচুর যানবাহন। রউদ্রের হিটে আমি অনেক ত্যাক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করেই দেখলাম আমার ডান ফিরতি লেনে কোন যান বাহন নেই। আমি কিছুই না চিন্তা করে বাইকের হ্যান্ডেল ডানে ঘুরিয়েই দিলাম পিকাপ ওভারটেকিং এর জন্য। যখন ই আমি আমার সাম্নের রিকশার পাশে উঠেগেলাম তখন মুহুর্তে দেখলাম সামনে থেকে একটি মাহিন্দ্রা চলে আস্লো। তখন অই ১ সেকেন্ডে আমার হাতে আর কিছুই করার ছিলো না। সজোরে মুখোমুখি সংঘর্ষ সেই মাহিন্দ্রার সাথে। আমি মুহুর্তে ই গ্যান হারালাম। যখন গ্যান আসছে তখন আমি দেখেছি আমি পাশের এক ফারমেসিতে। যদিও অই মুহুর্তের ভয়ে আমার গ্যান হারিয়ে গিয়েছিল। আমার হাত পা যদিও ভাংগেনি কিন্তু আমার শরিরের সব জায়গায় ক্ষত হয়ে গেছে। রাস্তার পিচ সব আমার চাম্রা ফুরে ঢুকে গেছে। আমার বাইক টর সাম্নের অংশ পুরো ধংশ হয়ে গেছিলো। সেই ব্যাথায় আমি দীর্ঘ ২ মাশ ভুগেছিলাম। এখনো আমাবস্যা এবং পুরনিমাতে আমার সেই ব্যাথা আমাকে ক্ষত বিক্ষত করে😪😪।
৫) সেই দিন আমি যদি ওভার টেকিং এর সময় ভালো করে সাম্নের দিক থেকে কি আস্তেছে তা দেখে নিতাম তাহলে ৯৯% আমার এক্সিডেন্ট ঘটতোনা এটা নিসচিত। এবং রাস্তায় ৯০% এক্সিডেন্ট ই হয় ওভারটেকিং এর সময়। আমি যদি একটু ধৈরজ ধরে দেখে শুনে ওভারটেকিং করতাম তাহলে আমার এক্সিডেন্ট ঘটার সম্ভাবনা ছিল না।
৬) সম্পুর্ন আমার নিজের ভুলেই সেই দুরঘটনা টা ঘটেছিল এবং আমি অসুস্থ অবস্থায় ও অই মাহিন্দ্রা ড্রাইভার এর কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে ২০০০ টাকা দিয়েছিলাম তার মাহিন্দ্রার চাকার মাডগাট ভেংগে গিয়েছিল সেটা রিপেয়ার করার জন্য। এবং তার মাহিন্দ্রার আর কোন যাত্রীর ক্ষতি হয়নি। সম্পুর্ন আমার নিজের অজ্ঞতা এবং অধইরজতার জন্যই আমি এই এক্সিডেন্ট এর শিকার হয়েছিলাম।
৭) এই দুরঘটনা থেকে এটাই শিক্ষা নিয়েছি যে কখোনোই ওভারটেকিং করার সময় ভালো করে বিপরীত দিক থেকে কোন কিছু আস্তেছে কিনা তা চেক করে দেখে শুনে বুঝে তারপরে ওভারটেকিং করতে হবে। যেই এক্সিডেন্ট এর কারনে আমার সেই শিক্ষা আমি এখন আমার বাইক রাইডিং এ এপ্লাই করি। এটা সত্য কথা এক্সিডেন্ট না করলে অনেক কিছুই সেখা জায় না। তবুও আমি মনে করবো সেই বাস্তব পরিস্থিতির সামনা সামনি হওয়ার আগেই আমার এই অভিজ্ঞতা কে যদি কোন বাইকার কাজে লাগায় তবে সেটা তার জন্য পথ চলাকে করবে আরো নিরাপদ। সবাই হেল্মেট, শু,গ্লোভস, এবং অন্যান্য সেইফটি গিয়ার পরে বাইক চালাবেন। বাইকের সকল কাগজ পত্র আপডেট রাখবেন। এবং অবস্যই বাইক চালাতে গেলে ধইরজ ধারন করবেন। মনে কোন প্রতিযোগিতা রাখবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে।
লিখেছেনঃ মিঠু দাস