যদিও এমন দুর্ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে ভালো লাগেনা তাও যদি কারও কোন উপকারে আসে তাই লেখা।।।।। ২০১৯ ইং সালের ১৮ মে রাত ১০:৩০-১০:৪৫ মিনিটের সময় দুর্ঘটনাটা ঘটেছিল।রাত ১০:৩০ এর সময় আমি যমুনা ফিউচার পার্কের পার্কিং থেকে বের হয়ে আমার Honda cb trigger বাইকটিতে আপুকে নিয়ে আপুর নিকুঞ্জের বাসায় ফিরছিলাম।নদ্দার U-turn এ U-turn নেয়ার সময় আকাশ পরিবহনের একটি বাস আমাদের ধাক্কা মারে,আমরা ছিটকে গিয়ে ডিভাইডারের সাইডে পরি কিন্তু এই ধাক্কার ফলে আপুর ডান পায়ের হাটুর অনেক টা অংশ যখম হয় যার চিকিৎসার জন্য আপুকে পুরো আড়াই মাস বিছানাতেই থাকতে হয় পাশাপাশি ড্রেসিং করা,ওয়াশ করা এসব যন্ত্রণাদায়ক বিষয় তো ছিলোই আর আমার আঘাত লেগেছিল বাম পায়ে।বাম পায়ের ফিবুলা টা ভেঙে গেছিল আর পা র মাংস পেশি বাসের চাপে থেতলে টিবিয়া র উপরে কিছুটা চলে এসেছিল যেটা পরবর্তীতে ওভাবেই স্থায়ী হয়ে যায় এছাড়া পায়ে কিছু টা যখম ও ছিল।সর্বসাকুল্যে আমাকে বিছানাতে থাকতে হয়েছে দেড় মাস এবং পুরোপুরি সেরে উঠতে প্রায় ছয় মাসের মত লেগে যায়।এবার আসা যাক দুর্ঘটনার কারণ এবং এড়ানোর বিষয়ে,আগেই বলে রাখা ভালো দুর্ঘটনার আসলে সঠিক কোন ব্যাখ্যা নেই বলেই হয়তো একে দুর্ঘটনা বলা হয়।তারপর ও যদি ঘটনার বর্ণনা করতে হয় তাহলে বলা যেতে পারে হয়তো আমি আরো একটু সময় নিয়ে U-turn টা নিতে পারতাম, হয়তো বাসটি আরো একটু কম গতিতে আসতে পারতো।যাইহোক মোটকথা আল্লাহ পাক চাইছেন তাই হয়তো দুর্ঘটনাটা হয়েছিল আবার আল্লাহ পাক ই আমাদের অল্পের ভিতর পুরোপুরি সুস্থ করে তুলেছেন।এবার আসা যাক শিক্ষাঃদুর্ঘটনাটা আমার ব্যক্তিগত জীবন এবং বাইক সংক্রান্ত অনেক শিক্ষা ই দিয়েছে,এখানে বাইক সংক্রান্ত শিক্ষাই বলছি,সবথেকে বড় শিক্ষা যেটা পেয়েছি সেটা হলো প্রতিটা মুহূর্তে আল্লাহ পাককে এবং দুর্ঘটনাকে স্মরণ করে বাইক চালানো, বাইকে ওঠার আগে যাবতীয় দোয়া পড়ে তারপর এ ওঠা, রাস্তাতে আরও বেশি সচেতন থাকার চেষ্টা করা,তবে বাইকের গতি সংক্রান্ত কোন শিক্ষা এই দুর্ঘটনা থেকে আসেনি কারণ আমি বাইক চালানোর শুরু থেকেই খুব আস্তে ধীরেই বাইক চালাই কারণ দুর্ঘটনাকে আমি সত্যিই খুব ভয় পেতাম এবং এখনও পাই।আর হ্যা আরেকটা শিক্ষা আর বিষয় যেটাই বলুন না কেন,এই দুর্ঘটনার পর আমি ঢাকার রাস্তাতে রাতের বেলা আর তেমন বাইক চালাই না।।
লিখেছেনঃ ইমতিয়াজ মিতুল ভাই